বুধবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৫
Wednesday , 30 April 2025
১৬ বৈশাখ ১৪৩২
০১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৩২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শুকনো তিস্তায় হঠাৎ উজানের ঢল

শুকনো তিস্তায় হঠাৎ উজানের ঢল
ছবি: সংগৃহীত

উত্তরাঞ্চলের তিস্তা নদীতে বৃষ্টি ছাড়াই আকস্মিক উজানের ঢল নেমে চরাঞ্চলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এ অপ্রত্যাশিত পানি বৃদ্ধিতে তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ বেড়ে যায়।  

তিস্তা ব্যারাজের পানি পরিমাপক রুহুল আমিন জানান, বিকাল থেকেই উজান থেকে পানি আসা শুরু হয়। রাতের মধ্যে পানির স্তর প্রায় এক ফুট বেড়ে যায়। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাটের মধ্যে ৩০টি খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে লালমনিরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার দাবি করেন, বর্তমান পানি প্রবাহে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।  

এদিকে, নীলফামারীর ডালিয়া এলাকায় তিস্তার পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে জলকপাট খুলতে বাধ্য হয়। সন্ধ্যা নাগাদ পানির চাপে ১৬টি কপাট খোলা হলেও রাতের মধ্যে সংখ্যাটি বেড়ে ৩০-এ পৌঁছায়। শনিবার সন্ধ্যায় ব্যারাজ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫০.১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার)।  

কৃষকদের মতে, তিস্তার চরে এ মৌসুমে তামাক, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। ডিমলার ঝাড়শিঙ্গেশ্বর চরের কৃষক আছির উদ্দিনের ভাষ্য, "হঠাৎ ঢলে বোরো, গম, মরিচের ক্ষেত ডুবে যেতে পারে। আমরা চরম ক্ষতির মুখে পড়ব।" একই আশঙ্কা প্রকাশ করেন চরবাসী রাকিবুল ইসলাম।  

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে 'তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন' এর ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরুর ঠিক দুদিন আগে এ ঢল নেমেছে। সংগঠনটির নেতারা ইতোমধ্যে সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। রবিবার সকালে পানি প্রবাহের সর্বশেষ পরিমাপই চরাঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছে পাউবো।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়