যোগ্যতা না থাকার পরও উপদেষ্টা আসিফ কীভাবে পেলেন অস্ত্রের লাইসেন্স?

যথাযথ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া অস্ত্রের লাইসেন্স পেলেন—এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে।
দৈনিক মানবজমিনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দু’টি অস্ত্রের লাইসেন্স সংগ্রহ করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে। অস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যে ক’টি যোগ্যতা দরকার সেগুলো আসিফের না থাকলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও উপদেষ্টা ক্যাটাগরিতে তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন। যদিও অস্ত্র আইনে বলা আছে, ব্যক্তিগত অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর হতে হবে। কিন্তু আসিফের বয়স ছিল ২৫ বছর ১১ মাস ১৮ দিন।
এছাড়া পিস্তল ও রাইফেলের লাইসেন্স পেতে টানা তিন অর্থবছরে তিন লাখ টাকা আয়কর প্রদর্শনের শর্ত রয়েছে। শটগানের ক্ষেত্রে আয়কর প্রদর্শনের ন্যূনতম সীমা এক লাখ টাকা। তবে মন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সমমর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বয়স ও আয়কর জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। প্রশ্ন উঠছে, উপদেষ্টা হিসেবে এই সুবিধার আওতায় কীভাবে আসিফ লাইসেন্স পেলেন?
জানা গেছে, আসিফের নামে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর শটগানের লাইসেন্স (নং-১৬৯১) এবং ১৫ ডিসেম্বর পিস্তলের লাইসেন্স (নং-১২৫৪) ইস্যু করা হয়। এসব লাইসেন্স ইস্যুর সময় বয়স ও আয়কর সংক্রান্ত শর্ত যথাযথভাবে পূরণ করা হয়নি।
গত রোববার আসিফ মাহমুদ মারাক্কেশ ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২৫ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে তুরস্ক হয়ে মরক্কো যাচ্ছিলেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা স্ক্রিনিংয়ের সময় তার ব্যাগ থেকে একটি অ্যামোনেশন ম্যাগাজিন পাওয়া যায়। তিনি পরে এটি তার প্রোটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করেন এবং নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।