বৃহস্পতিবার , ১৯ জুন ২০২৫
Thursday , 19 June 2025
৬ আষাঢ় ১৪৩২
২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫৮, ১৭ জুন ২০২৫

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় দেরি, ধৈর্য ধরতে বললেন আমীর খসরু

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় দেরি, ধৈর্য ধরতে বললেন আমীর খসরু
ছবি: সংগৃহীত

রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সব দলের মধ্যে ঐকমত্য আছে। কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাই সবাইকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ডায়াস ফেরেস বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমির খসরু। তিনি জানান, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাংলাদেশের কৃষি, প্রাণিসম্পদ, রাজনীতি ও ফুটবল খেলার উন্নয়ন-পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়েছে। যেখানে দুই দেশের মধ্যে কিভাবে পারস্পারিক সহযোগিতা ও সম্পর্ক আরো উন্নত করা যায় সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে (রমজানের আগে) একটা জাতীয় ঐকমত্য আছে। এটা সবারই মতামত, এ জায়গাতে কোথাও দ্বিমত আছে বলে মনে করি না। বিভিন্ন কারণে এই জায়গাটায় আমরা এসছি এবং জাতীয় ঐক্যমত পোষণ করছি। লন্ডনে বৈঠকের পর জাতি কিন্তু অত্যন্ত আনন্দিত।

সবার মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। এই জায়গাটার মধ্যে কোন অসুবিধা আমি দেখছি না। আর দিনক্ষণ, এটা তো নির্বাচন কমিশন ডিক্লেয়ার করবে। সেটা তো আর সরকার বলতে পারবে না, আমরাও বলতে পারবো না। নির্বাচনের তারিখ নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আসবে এবং আমরা সেটার জন্য অপেক্ষা করব।

এটার জন্য আমাদেরও তো ধৈর্য থাকতে হবে, তাই না? অস্থিরতার মধ্যে সারাক্ষণ থাকলে তো হবে না। একটু তো ধৈর্য ধরতে হবে। একটু একটু সহনশীল হতে হবে। আমাদের মধ্যে আস্থারও একটা ব্যাপার আছে। আমরা যদি একেবারে আস্থাহীন হয়ে যাই, একদম অস্থিরতার মধ্যে থাকলে তো সমস্যা। এটা কোনো জাতির জন্য কাম্য না। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরে আসবে, অতটুকু আস্থা আমাদের রাখতে হবে।

সরকারের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনকে কোন বার্তা দেওয়া যায় কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই। এটা নিয়ে সরকারের সাথে নির্বাচন কমিশনের কথা হবে। এই ব্যাপারটা তো খুবই স্বাভাবিক। এটা তো রুটিন ব্যাপার তাই না। সুতরাং আমরা সবাই একটু ধৈর্য ধরে সময় দেই। লন্ডনে যে বৈঠক হয়েছে, এটা আমার মনে হয় জাতির জন্য একটা বড় ধরনের ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে। আমরা ওইটাকে সেইভাবেই দেখি। কোন ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের ভবিষ্যৎ সামনে চলার পথ বিঘ্নিত করা ঠিক হবে না।

ইশরাক হোসেনের শপথ পড়ানো নিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, ‘আইনগতভাবে কোর্টের রায় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও আসছে। সুতরাং সবাই অপেক্ষায় আছে। আমরা দেখি সরকার কি সিদ্ধান্ত দেয়। একটু অপেক্ষা করি, একটু ধৈর্য ধরি। নিশ্চিতভাবে সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। সুতরাং আমরা একটু ধৈর্য ধরি।’

আগামী দিনে বিএনপি বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটা বড় পরিবর্তন আনতে চায় বলেও জানান বিএনপির এই নেতা।

সর্বশেষ

জনপ্রিয়