মঙ্গলবার , ০৮ জুলাই ২০২৫
Tuesday , 08 July 2025
২৩ আষাঢ় ১৪৩২
১১ মুহররম ১৪৪৭

প্রকাশিত: ১০:২০, ২৬ জুন ২০২৫

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু
ছবি: সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা প্রথমপত্রের লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। এ পরীক্ষা চলবে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত। এরপর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এবার সারা দেশে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি, আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি ও কারিগরি বোর্ডের অধীন পরীক্ষার্থী এক লাখ ৯ হাজারের বেশি। দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে মোট ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।

শিক্ষা বোর্ড জানায়, চলতি বছর পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। এর মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা, ওএমআর শিটে সঠিকভাবে তথ্য লেখা ও বৃত্ত ভরাট, উত্তরপত্র ভাঁজ না করা, শুধু সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা এবং বহুনির্বাচনি ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি না থাকা, পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো অবস্থাতেই মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। তত্ত্বীয়, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে পাস করতে হবে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থী শুধু প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে, স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করা হয়েছে, অর্থাৎ নিজ প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। প্রতিটি অংশের উপস্থিতি পত্রে পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর দেওয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ৩৩ দফা নির্দেশনা জারি করেছে, যাতে পরীক্ষা শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। এসব নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শক রাখার পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্বে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন আগে সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি থেকে প্রশ্নপত্র যাচাই করে খামে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। পরীক্ষা শুরুর দিন সকালে নির্ধারিত সেট অনুযায়ী খাম খোলা যাবে, অব্যবহৃত সেট ফেরত পাঠাতে হবে। প্রশ্নপত্র আনার সময় থানার ট্যাগ অফিসার ও পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের বাইরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, প্রয়োজনে মাইক ব্যবহার করে সচেতনতা তৈরি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও প্রতিটি কেন্দ্রে নকল প্রতিরোধ পোস্টার টানানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে শুধু এনালগ কাঁটাযুক্ত ঘড়ি ব্যবহারের অনুমতি থাকবে। এ ছাড়া বর্ষাকালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ অফিসকে আগেভাগে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়