ছাত্রদলের প্যানেল চূড়ান্ত, ভিপি আবিদুল ইসলাম-জিএস হামিম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশ নিতে প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল হোসেন রাকিব।
ছাত্রদলের ঘোষিত এই প্যানেলে ভিপি (সহ-সভাপতি) পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবিদুল ইসলাম খান। তিনি ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে মনোনীত হয়েছেন কবি জসীম উদ্দীন হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর বারী হামিম। তিনি উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে রাখা হয়েছে বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক তানভীর আল হাদী মায়েদকে। তিনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
সম্পাদকীয় পদে মনোনীতরা হলেন— মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে আরিফুল ইসলাম; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল ইসলাম; কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা; আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান; সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান; ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক চিম চিম্যা চাকমা; ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফ উল্লাহ্ (সাইফ); সমাজসেবা সম্পাদক সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক; ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক মো. আরকানুল ইসলাম রূপক; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মো. মেহেদী হাসান মুন্না।
সদস্য পদে রাখা হয়েছে মো. জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, মো. হাসিবুর রহমান সাকিব, মো. শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, সামসুল হক আনান এবং নিত্যানন্দ পালকে।
তবে গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে কাউকে প্রার্থী দেয়নি ছাত্রদল। সংগঠনটি জানিয়েছে, ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর প্রতি সম্মান জানিয়ে এই পদে কেউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
প্যানেল ঘোষণার সময় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা চায় একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। ছাত্রদের অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বলে জানান নেতারা।