বুধবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৫
Wednesday , 30 April 2025
১৬ বৈশাখ ১৪৩২
০১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২২, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

গর্ভাবস্থায় যেভাবে সুস্থ থাকবেন

গর্ভাবস্থায় যেভাবে সুস্থ থাকবেন
ছবি: সংগৃহীত

নারীর জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থাকে। এর মধ্যে গর্ভাবস্থা হলো অন্যতম অধ্যায়। এই সময় নারীর মধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটে। আর এই পরিবর্তন সরাসরি প্রভাব ফেলে তাঁর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।  গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি। তাই নিরাপদ গর্ভাবস্থা হবু মা এবং অনাগত সন্তানের জন্য অনেক জরুরি।
এ সময় গর্ভবতী মায়ের শরীরে চলে হরমোনের পরিবর্তন। একজন নারীর গর্ভধারণে পূর্বে, গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়গুলোতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এতে গর্ভবতী মা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ফলে মায়ের পাশাপাশি শিশুরও ক্ষতি হতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিনের মতে, গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন। এ সময়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে খাদ্যাভ্যাস, বিশ্রাম ও ঘুম, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পানি পান, ফুড সাপ্লিমেন্ট, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকা। গর্ভাবস্থায় একজন নারী সুস্থ থাকা জন্য যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন, সেগুলো হলো:
১. গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন আমিষ, জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ইযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে।
২. এ সময় ফলমূল-শাকসবজি খেতে হবে। শাকের মধ্যে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচাবে। ফলমূল অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে খেতে হবে।
৩. আমিষজাতীয় খাবার খেতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়বে। পাশাপাশি গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটবে।
৪. প্রতিদিন কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগাতে হবে। এতে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি পূরণ হবে।
৫. মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, বাদাম ও ডালজাতীয় খাবার খেতে হবে। মাছ, লাল মাংস, দুধ থেকে পাওয়া যাবে জিংক। দুধ আর কলিজায় পাওয়া যাবে সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ। সবুজ শাক, ডিম, মাংস, দুধ, বাদাম থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন ই।
৬. এ সময় প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। এর পরিবর্তে হোল-গ্রেইন বা দানাদার শস্যজাতীয় খাবার খেতে হবে।
৭. ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শরীরকে প্রসবের প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে।
৮. এ সময় মানসিক চাপ থেকে দূরে রাখতে হবে।  তা না হলে শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
৯. নিয়মিত ঘুমাতে হবে। প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমাতে হবে। কম ঘুম হলে তা শরীরের অসুস্থতাকে আরও বেশি অসংবেদনশীল করে তুলবে।
১০. পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের হয়ে যাবে। কম পানি পান করলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়