শুক্রবার , ২২ আগস্ট ২০২৫
Friday , 22 August 2025
৬ ভাদ্র ১৪৩২
২৬ সফর ১৪৪৭

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:৪১, ১৯ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৬:৪২, ১৯ আগস্ট ২০২৫

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ৩টি দফা নিয়ে আপত্তি আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ৩টি দফা নিয়ে আপত্তি আছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সূচনা ও ২, ৩, ৪ দফা নিয়ে বিএনপির আপত্তির কথা জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। খসড়া সনদের সূচনায় অসত্য তথ্য দেওয়া হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়ার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয় আলোচনা করা না হলেও তা সেখানে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু বিষয় সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। সবকিছু পর্যালোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাঠাবে বিএনপি। আগামী সংসদ গঠনের দুই বছরের মধ্যে সংবিধানসংক্রান্ত সংশোধনী পাস করার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত খসড়ায় তা নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জুলাই সনদে উত্থাপিত ৮৪ দফার মধ্যে যেসব দফায় সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হবে; যেসব বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট এসেছে, সেগুলোর সুরাহা কীভাবে হবে এবং সংবিধান সংস্কারবিষয়ক যেসব কথা এসেছে, তার বাস্তবায়ন কীভাবে হবে—এসবের নিষ্পত্তি জরুরি। এসব কিছু পর্যালোচনা করে কমিশনকে মতামত জানাবে বিএনপি।’

জুলাই সনদে সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে কথা এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেক বিষয় আছে যেসব বিষয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছে। সেগুলোর অনেক বিষয়ই অধ্যাদেশসহ সরকারের নির্বাহী আদেশে বাস্তবায়নযোগ্য। তবে সংবিধান সংশোধন এবং ঐকমত্য হওয়া সব বিষয় পরবর্তী সংসদ তাদের মেয়াদের দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে অঙ্গীকার দেওয়ার কথা ছিল।

‘আগের সনদে নির্বাচিত সংসদ-পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবে বলা হলেও নতুন সনদে তা নাই। এ ছাড়া দ্বিতীয় দফার আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে অঙ্গীকারনামায় সনদকে সংবিধানের ওপরে রাখা হয়েছে। কোনো ডকুমেন্ট সংবিধানের ওপরে হতে পারে না। যদি সনদ সংবিধানের ওপরে রাখা হয়, তাহলে তা ভবিষ্যতের জন্য খারাপ নজির হবে। জুলাই সনদ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না বলা হয়েছে–এটাও সঠিক হয়নি।’

নির্বাচন নিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই হবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন। কমিশনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা খুব দৃঢ়ভাবে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। এটা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় নেই।

‘যারা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা মাঠের বক্তৃতায় বলছেন, তারা নির্বাচনী কৌশল হিসেবে বিভিন্ন পক্ষকে চাপে রাখার জন্য এসব বলে থাকতে পারেন। এটা তাদের বক্তব্য। এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’

সর্বশেষ

জনপ্রিয়