শুক্রবার , ২২ আগস্ট ২০২৫
Friday , 22 August 2025
৬ ভাদ্র ১৪৩২
২৬ সফর ১৪৪৭

ওবায়দুল ইসলাম রবি, রাজশাহী

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, নানা-নানী আটক

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, নানা-নানী আটক

রামেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি, নানা-নানী আটক

ওবায়দুল ইসলাম রবি রাজশাহী

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে একটি নবজাতক চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিশুটির বাবার নাম সুমন মিয়া। তার বাড়ি রংপুরের পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর গ্রামে। সুমনের স্ত্রীর নাম মনি খাতুন (১৮)। তার বাবার বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার গোকুলনগর গ্রামে। সন্তান প্রসবের জন্য গত ৪ অক্টোবর মনিকে রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এরপর গত রোববার মনি খাতুন একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

তবে বুধবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে শিশুটির চুরি হয়েছে এবিষয়ে রাজপাড়া থানায় মামলা করতে যায় নবজাতেকের নানা-নানী। থানা পুলিশ নানা ও নানী আচরণ ‘সন্দেহজনক’ হওয়ায় তাদেরকে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সারারাত থানাতেই ছিল শিশুর নানা-নানী। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত তাদের ছাড়া হয়নি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চাটির জন্মের পর ওজন ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এ জন্য বাচ্চাটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার অজ্ঞাত এক নারী মাস্ক পরা অবস্থায় বাচ্চার মাকে সন্তানের ভালমন্দ বিষয়ে খোঁজ নেন। তখন বাচ্চার মা বাচ্চার সমস্যার কথা ওই নারীকে জানান। ওই নারী তাকে আশ্বস্ত করে বলেন যে, বাইরের একটি ক্লিনিকে ভালো ডাক্তার আছে। সেখানে দেখালে তার বাচ্চা ভালো হয়ে যাবে। এ বিষয়ে নবজাতকের নানীকে জানালে তিনি বাচ্চার সুস্থতার জন্য ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন।

মনি খাতুন জানান, ওই নারী তার মাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, তারা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে বাচ্চাদের চিকিৎসা ও টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করেন। বুধবার বিকেল ৪টার দিকে তার মা রুমি বেগম বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাচ্চার মাকে বলেন, ‘বাচ্চার গরম লাগছে। বাইরে থেকে বাতাস খাইয়ে নিয়ে আসি।’ এই বলে তার ছেলেকে বাইরে নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত ওই নারীর কোলে তুলে দেন। এরপর থেকেই বাচ্চার আর সন্ধান পাওয়া যায়নি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল ইসলাম পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলেন, বুধবার রাতে নবজাতকের নানা হাসান আলী ও নানী রুমি বেগম রাজপাড়া থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ করতে যান। তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ার কারণে পুলিশ তাদের আটক রাখে। সম্প্রতী একটি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। থানা পুলিশ শিশুটি উদ্ধারে কাজ করছে। 

 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়