চার বছরে ক্রিয়েটরদের ১০০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ইউটিউব
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব গত চার বছরে কনটেন্ট ক্রিয়েটর, শিল্পী ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে একশ’ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ প্রদান করেছে। গুগলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ‘মেড অন ইউটিউব’ অনুষ্ঠানে এই তথ্য প্রকাশ করে। ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী নীল মোহন বলেন, “আমরা শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি অর্থনীতি গড়ে তুলেছি।”
প্রযুক্তি-বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবল জানায়, গত কয়েক বছরে ইউটিউব ক্রিয়েটরদের কর্মসংস্থান প্রায় সাড়ে সাতগুণ বেড়েছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৃজনশীল পেশাকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আধুনিক ক্রিয়েটর অর্থনীতি গড়ে তুলতে ইউটিউবের ভূমিকা তাই অন্য সব প্ল্যাটফর্মের তুলনায় অনেক বড়।
বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম, টিকটক বা ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম থেকেও আয় করা যায়। তবে সরাসরি ভিউ থেকে আয়ের সুযোগ এবং লাভজনক কাঠামোর কারণে ইউটিউবকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ধরা হয়। শুধু স্মার্টফোন নয়, এখন টেলিভিশন স্ক্রিন থেকেও ভিউ আসছে, যা নির্মাতাদের আয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
ইউটিউবের হিসেবে, যে চ্যানেলগুলো টিভি দর্শকদের কাছ থেকে বছরে এক লাখ ডলারের বেশি আয় করছে, সেই সংখ্যা গত এক বছরে ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ মোবাইলভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম থেকে টিভি দর্শক যুক্ত হওয়ায় ক্রিয়েটরদের আয় বহুগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শুধু স্বাধীন নির্মাতারাই নয়, ইউটিউব এখন ক্রীড়া অনুষ্ঠান সম্প্রচারেও যুক্ত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় এনএফএল ফুটবল খেলাও সরাসরি সম্প্রচার করছে প্ল্যাটফর্মটি। তবে সবকিছুর কেন্দ্রে রয়েছেন সৃজনশীল ক্রিয়েটররা। ইউটিউবের অর্থনীতিতে তাদের অবদান শুধু বিনোদনই নয়, বরং কোটি মানুষের জীবিকার পথ তৈরি করছে।
