যুক্তরাষ্ট্র-ইইউর মধ্যে শুল্ক চুক্তি সম্পন্ন, ১৫ শতাংশে দফারফা

দীর্ঘ টানাপোড়েন ও চাপা উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে বাণিজ্যিক শুল্ক ইস্যুতে অবশেষে এক ঐতিহাসিক সমঝোতা হলো। কয়েক সপ্তাহের জটিল ও নিবিড় আলোচনার পর রোববার স্কটল্যান্ডে এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি সম্পন্ন হয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে উত্তাপ ছড়ানো এই সংকট কাটিয়ে দুই পক্ষই এবার শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে এক চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার আওতায় ইইউ পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
চুক্তি ঘোষণার সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন একসঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প এই চুক্তিকে 'এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক চুক্তি' হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “এই সমঝোতা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক। আমরা আর কোনো দ্বন্দ্ব চাই না বরং স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক চাই।” তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রে শত শত কোটি ডলারের বিনিয়োগ ও জ্বালানি ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই চুক্তির মাধ্যমে ট্রাম্পের আগের ঘোষণাগুলোর তুলনায় অনেকটাই নরম অবস্থানে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে তা এখন ১৫ শতাংশে সীমিত হলো।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফন ডার লিয়েন চুক্তিটিকে "বিশাল সাফল্য" বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর ভাষায়, “এই চুক্তি শুধু ব্যবসায়িক সুবিধাই নয়, আটলান্টিকের দুই প্রান্তের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক।” বিবিসি জানিয়েছে, এই নতুন চুক্তি আগামী শুক্রবার থেকে কার্যকর হবে।